১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিছু সংখ্যক নাবিক ও তরূণ মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা নৌ কমান্ডো দল এবং মাত্র ২টি গান বোট ‘‘পদ্মা’’ ও ‘‘পলাশ’’ এর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত অপারেশানসমূহ বাংলাদেশের সবাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করে। কালের পরিক্রমায় ও বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশ গঠন ও দেশের অখণ্ডতা রক্ষা; বিশেষ করে মিয়ানমার ও ভারতের কাছ থেকে যথাক্রমে বিগত ২০১২ সালে (মিয়ানমার) এবং ২০১৪ সালে (ভারতের সাথে) সমুদ্র সীমানা বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের ঐতিহাসিক রায়ে অর্জিত ‘সমুদ্র জয়’ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত ১,১৮,৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা এবং এ এলাকায় অবস্থিত সকল বন্দর ও স্থাপনার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। আন্তর্জাতিক জলসীমায় বাংলাদেশের অধিকার সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। যুদ্ধকালীন সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, অপারেশান পরিচালনা করা, শান্তিকালীন সার্বক্ষণিক উপস্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় সার্বভৌম নিয়ন্ত্রণ সংবদ্ধ করা, বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা এবং পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, সমুদ্রে টহল প্রদান, মৎস্য সম্পদ রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, জলদস্যু প্রতিরোধ/দমন এবং তেল ও গ্যাস সম্পদের নিরাপত্তা বিধান, আইন শৃংখলা রক্ষা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সমুদ্রে উদ্ধার অভিযান (এভাকুয়েশান, রেসকিউ অপারেশান) ইত্যাদি পরিচালনা করা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দায়িত্বসমূহের অন্যতম। এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক জোটের সঙ্গে অপারেশান, বহুজাতিক প্রশিক্ষণ/মহড়া ইত্যাদিতেও বাংলাদেশ নৌবাহিনী অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। বিস্তারিত পড়ুন....