বাংলাদেশের জন্য একটি আধুনিক ও সুন্দর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যয়কে সামনে রেখে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। সচিবালয় থেকে ১৯৭২ সালে এ মন্ত্রণালয়টি হাইকোর্ট ভবনে এবং ১৯৯৩ সালে শের-ই-বাংলা নগরের গণভবন কমপ্লেক্সে বর্তমান ভবনে স্থানান্তরিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৪টি দপ্তর/সংস্থা নিয়ে গঠিত হলেও বর্তমানে ২৫টি দপ্তর/সংস্থা নিয়ে এ মন্ত্রণালয় পরিচালিত হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোতে পূর্বের ২২৪ টি পদ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে মোট পদসংখ্যা হয়েছে ২৩২ টি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সময়োপযোগী কর্ম-উদ্যোগ এবং বাস্তবানুগ ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সামরিক অসামরিক প্রতিষ্ঠান সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকীকরণ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম, সুখী, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে আরো সুদৃঢ় ও শক্তিশালী করে তুলবে।
জাতীয় উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণ একটি চলমান এবং ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। জাতীয় সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সুনির্দিষ্ট, সমন্বিত এবং কার্যকর কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচিকে জাতীয় অগ্রগতির অবিচ্ছেদ্য অংশ বিবেচনা করে তা অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। জাতীয় অগ্রগতির ভিত্তিকে সুসংহত করার লক্ষ্যে এবং একটি সুস্থিত, সুখী ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র ব্যবস্থা সমুন্নত রাখার স্বার্থে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীয় ভূমিকা পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়